সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০০৮

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত :
আমাদেরই সচেতন হতে হবে দৃষ্টি পাত


ডেনমার্কের পত্রিকা জিল্যান্ডস-পোস্টেনের কার্টুনিস্ট ওয়েস্টারগার্ডের বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে বিদ্রূপ করে আঁকা ছবি সর্বপ্রথম মুদ্রণ করেছিল সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে। ওই বিতর্কিত কার্টুনটি ছাপিয়ে দিয়ে তারা বিশ্বের মুসলমানদের অìত্মরে আঘাত দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ এবং বি‹োভ মিছিল করতে গিয়ে পাকিþত্মানসহ বিভিন্ন দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক কার্টুনের ঘটনায় পুরো বিশ্ব হয়েছে ব্যথিত। কিন্তু ডেনিশ পত্রিকা এবং এর কার্টুনিস্ট ব্যথিত তো হয়ইনি, বরং তারা গত ১৩ ফেব্রম্নয়ারি আবার কার্টুনটি পুন:মুদ্রণ এবং ওয়েবসাইটে পুন:প্রকাশের মাধ্যমে তাদের চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টয়লেটের কমোডর ঢাকনায়, মহিলাদের জুতায়, অশস্নীল ভঙ্গিতে ফ্যাশন গার্লদের জামা ও গেঞ্জির গায়ে কালেমা সংবলিত বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ওয়েবসাইটে পবিত্র কাবাঘরকে বিমান হামলা করে ধ্বংসের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আবারো মর্মাহত হয়েছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। এভাবে একের পর এক মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মক আঘাত হানা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুসলমানদের হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত। একদিকে কার্টুন প্রকাশ করে মুসলমানদের উসকানি দিচ্ছে, অন্যদিকে ইসলামকে ‘সন্ত্রাসী ধর্ম’ হিসেবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে নানা কায়দায়। অথচ জাতিসঙ্ঘ এবং মুসলিম দেশগুলোর সর্বোচ্চ সংস্খা ওআইসি এর কোনো প্রতিকার করতে পারছে না। উপরন্তু ফিলিþিত্মন, আফগানিþত্মান, ইরাক, লেবাননে হামলা করে অসংখ্য মুসলমানকে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে পশ্চিমাদের তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। মুসলমানরা আজ কার কাছে বিচার চাইবে? বিচার চেয়ে কি কোনো ফল হবে? বিশ্বের তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে সুশীল সমাজের মুখপত্র ও সাময়িকী আমাদের প্রিয় নাম ‘মুহাম্মদ’-কে বিড়ালের নামের সাথে সংযুক্ত করে, পবিত্র কাবাঘরকে বাঈজী (বেশ্যা) ঘরের সাথে তুলনা করে। মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাসীদের আþত্মানা হিসেবে প্রচার করা হয়। যখন সরকার কার্টুনিস্টকে জেলে প্রেরণ করে, তখন মানবাধিকার নেত্রী আইরিন খান বাংলাদেশে এসে বললেন, এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। অথচ এই দেশের ৯০% মুসলমানের ধর্মীয় অধিকারকে সামান্যও গুরম্নত্ব দিলেন না।মীরজাফরের হঠকারিতার কারণে যেমন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন ঘটেছিল, তেমনি পরনির্ভরশীলতা, ইতিহাস বিস্মৃতি এবং আদর্শহীনতার কারণে আজ আমাদেরও পতন ঘটছে। আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে আজ আমরাই ক্রমশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। তাই আজ আত্মসমালোচনা করতে হবে। আত্মসচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই: