কারও নিন্দে নয়
মানুষের চারিত্রিক গুণাবলীই তার বিকাশ ঘটায়। সৎ আচরণ ব্যক্তিকে করে মহান আর সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতাকে করে অতি সুন্দরতম। একটু নজর ফেরালেই দেখা যায়, গীবত বা পরনিন্দা এই সুন্দর-সুস্থ পরিবেশকে নষ্ট করে। ঈমান ও আমল বরবাদ করে দেয়। শুধু তাই নয়, সৃষ্টি করে হিংসা-বিদ্বেষ ও অশান্তি। নিন্দার এই কুৎসিত রূপ সম্পর্কে আমরা অনেক সময় সচেতন থাকি না।
আমরা আড়ালে-আবডালে মানুষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষ চর্চায় মেতে উঠি। অনেক সময় এই দোষ চর্চা নোংরা আলোচনায় গড়ায়। পরনিন্দা সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন- ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পরনিন্দায় লিপ্ত না হয়। তোমাদের কেউ কি মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে। এটা যেমন তোমরা ঘৃণা কর তেমননি পরনিন্দা সম্পর্কেও তোমাদের ঘৃণা থাকা উচিত।’ পরনিন্দা সম্পর্কে হজরত রাসূল (স·) ইরশাদ করেছেন, ‘পরনিন্দা ব্যভিচারের চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্যতম। তিনি আরও বলেছেন, পরনিন্দাকারী এবং পরনিন্দা শ্রবণকারী উভয় সমান অপরাধী।’ পরনিন্দা মহামারী আকারে আমাদের সমাজে বিষ ছড়াচ্ছে, সংশোধন না করতে পারলে সমাজ, রাষ্ট্র, জাতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
পরনিন্দার উৎস হচ্ছে গর্ব ও অহংকার। অনেক সময় আমরা এর জোরে মানুষকে ছোটখাটো ভাবি, দোষ-গুণ বিচার না করেই মিথ্যার আলোকে পরচর্চা করি, অন্যদিকে বংশ সামাজিক প্রতিষ্ঠা রূপ, সৌন্দর্য ও বিদ্যা-বুদ্ধির জোরেও মানুষকে নির্বোধ ও বোকা ভাবি এবং পরনিন্দায় নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখতে চাই। শেখ সাদী (রহ·) বলেছেন, তোমার পূর্ব-পুরুষ কোন এক কালে শাহী দরবারের ঝাড়-দার ছিল কি না সেটা বড় কথা নয়, তুমি কি সেটাই হচ্ছে বড় পরিচয়।
মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন