শুক্রবার, ২ জানুয়ারী, ২০০৯

আশুরাঃ ইতিহাস ও ফজিলত


আশুরাঃ ইতিহাস ও ফজিলত


মহররম মাস আরবি তথা হিজরি বর্ষের প্রথম মাস। এ মাসটিকে মহররম বা নিষিদ্ধ মাস বলা হয়ে থাকে যেহেতু এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বিশেষভাবে নিষিদ্ধ। প্রাক ইসলামি যুগে মহররম মাসের নাম ছিল আল মুতাসির। [মোজহের-পৃ.৬৯]
জাহেলি যুগে আরবরা কখনো কখনো এ মাসকে হারাম মনে করত, আবার কখনো কখনো এতে যুদ্ধবিগ্রহকে হালাল বা বৈধ মনে করত। ইসলামের আগমনের পর এ মাসকে সুনির্দিষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয় এবং এ মাসের পবিত্রতা বর্ণনা করা হয়। তাই এ মাসকে আল মহররম বা হারাম মাস হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। [আল মোজহের-৯২]
রাসূল সাঃ হাদিসে এ মাসের নামকরণ ও গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন­ ‘রামাদান মাসের সিয়ামের পর সর্বোৎকৃষ্ট সিয়াম (রোজা) হচ্ছে ‘আল্লাহতায়ালার মাস আল মহররমের রোজা।’ [সহিহ মুসলিম-১১৬৩] এ হাদিসের আলোকে মহররম মাসের গুরুত্ব ও নামকরণ এ দু’টি প্রমাণিত হলো।
মহররম মাসের মর্যাদা ও ফজিলতঃ সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এ মাসের অনেক মর্যাদা ও ফজিলত সাব্যস্ত রয়েছে। এ মাসের মর্যাদা প্রমাণিত হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, এ মাসটি চারটি হারাম বা নিষিদ্ধ মাসের একটি মাস। রাসূল সাঃ পবিত্র কুরআনের আয়াতঃ তন্মধ্য থেকে চারটি হারাম মাস (সূরা আততাওবাহঃ ৩৬)
আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রামাদান মাসের রোজা ফরজ করার আগে মুসলমানরা আশুরার দিন রোজা রাখত। আর এ দিন কাবাঘরের গিলাফ পরানো হতো। যখন রামাদানের রোজা ফরজ করা হলো তখন রাসূল রাঃ এ ঘোষণা দিলেন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে এ দিনের রোজা রাখার সে রোজা রাখবে। আর যে রোজা পরিহার করতে চায় সে তা পরিহার করবে। [বুখারি ১৫১৫, ১৭৯৪]
এ হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রামাদানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মুসলমানরা এ দিন রোজ রাখতেন। এমনকি রাসূল সাঃও তাদের এ দিনের রোজা পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে জাহেলি সমাজের কুরাইশ মুশরিকরাও এ দিনে রোজাব্রত পালন করত। [বুখারি-১৭৯৪]
এ দিনের মর্যাদা উপলব্ধি করে ইহুদি সমাজও এ দিনকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করত এবং বিশেষভাবে এ দিনের রোজাব্রত পালন করত। রাসূল সাঃ হতে প্রসিদ্ধ সাহাবি ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাঃ যখন মদিনায় আগমন করেন তখন তিনি ইহুদিদের দেখতে পেলেন তারা আশুরার দিবসে সিয়াম পালন করছে, তাদের জিজ্ঞেস করা হলো; এ দিনের রোজা সম্পর্কে তারা বলল­ এ দিন আল্লাহতায়ালা মূসা আঃ ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর বিজয় দান করেছেন, তাই আমরা এ দিনের সম্মান ও মহত্ত্বের জন্য রোজা পালন করি। তাদের প্রতি উত্তরে রাসূল সাঃ এরশাদ করলেন­ আমরা তোমাদের চেয়ে মূসার উত্তম অনুসারী, অতঃপর তিনি এ দিনের রোজা রাখতে সাহাবিদের নির্দেশ দেন।’ [বুখারি ৩৭২৭]
আশুরার দিনে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত হচ্ছে, রাসূল সাঃকে এ দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এ দিনের রোজা পালন গত এক বছরের গুনাহগুলোর কাফফারাস্বরূপ। [সহিহ মুসলিম-১১৬২]
ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণিত অপর এক হাদিসে এসেছে, আশুরার দিবসের রোজা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই রাসূল সাঃ এ দিন ছাড়া অন্য কোনো দিন ফজিলতের উদ্দেশ্যে রোজা পালন করতেন। আর এ মাস অর্থাৎ রামাদান ছাড়া অন্য কোনো মাসে তিনি রোজা পালন করতেন। সুতরাং এ কথা প্রমাণিত হলো যে, রাসূল সাঃ এ দিনের রোজা রাখাকে ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ মনে করতেন।
সহিহ মুসলমানের অপর বর্ণনায় এসেছে, রাসূল সাঃ এরশাদ করেছেন, আশুরার দিবসের রোজা পালনে আমি গত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে আশা পোষণ করি। [সহিহ মুসলিম-২৮০৩]
রামাদানের ফরজ রোজার পর সাধারণ নফল সিয়ামের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট সিয়াম হচ্ছে এ মাসে নফল রোজা পালন করা। সুতরাং আশুরার দিবসের সিয়াম পালন করা ছাড়াও এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা পালন করা ফজিলতময় কাজের অন্তর্ভুর্êক্ত।
হাফেজ ইবনে রজব রহঃ আশুরার দিবসের রোজা সব নবীর কাছে পরিচিত বিষয় ছিল নূহ ও মূূসা আঃ এ দিনের রোজা রেখেছেন। আহলে কিতাবরা এ দিনের রোজা রেখেছে, মক্কার কুরাইশ মুশরিকরা এ দিনের রোজা রাখত, এ দিনের রোজা পালনের ক্ষেত্রে রাসূল সাঃ-এর চারটি অবস্থা ছিল।
প্রথমত, মক্কায় থাকা অবস্থায় রাসূল সাঃ এ দিন রোজা রাখতেন কিন্তু এ দিনের রোজা পালনের জন্য কোনো প্রকার নির্দেশ দেননি। বুখারি ও মুসলিমে আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত হাদিস এ কথায় সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করছে।
দ্বিতীয়ত, রাসূল সাঃ মদিনা আগমনের পর যখন ইহুদিদের দেখলেন তারা ওই দিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা উপলব্ধি করে রোজা রাখছে। তিনি এ দিনের রোজা রাখেন এবং সাহাবিদের এ দিনের রোজা পালন করতে নির্দেশ দিলেন। রোজা রাখার ব্যাপারে এত বেশি গুরুত্ব দিলেন যে, সাহাবিরা তাদের শিশু-সন্তানদেরও এ দিন রোজা রাখতে বাধ্য করত।
মুসলমান ইমাম আহমাদে আবু হুরাইরা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন­ নবী সাঃ এক দিন কিছুসংখ্যক ইহুদির পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যাচ্ছেন, এমতাবস্থায় তারা আশুরার রোজা রেখেছে, তিনি জিজ্ঞেস করলেন? এটা কী ধরনের রোজা? উত্তরে তারা বলল­ এ দিন মহীয়ান গরিয়ান আল্লাহতায়ালা মূসা আঃ ও বনি ইসরাইলকে পরিত্রাণ দিয়েছেন, ফেরাউনকে তার সম্প্রদায়সহ ডুবিয়ে মেরেছেন। এ দিন নূহ আঃ-এর নৌকা আল জুদি পাহাড়ের নাগাল লাভ করেছে, তাই নূহ ও মূসা আঃ মহীয়ান আল্লাহর কৃতজ্ঞতাবশত এ দিনের সিয়াম পালন করেছেন। আমরাও এ দিনের সিয়াম পালন করছি। রাসূল সাঃ তাদের উত্তরে বললেন­ মূসার ব্যাপারে আমি তাদের চেয়ে অধিক হকদার, এ দিনের রোজা পালন আমার জন্য তাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অতঃপর তিনি তাঁর সাহাবিদের এ দিনের রোজা রাখতে নির্দেশ দেন। [মুসনাদ আহমাদ-৮৭০২, হাফেজ ইবনে হাজার ফাতহুল বারতে হাসান হিসেবে উল্লেখ করলেও শাইখ আলবানি ও শোয়াইব আরনাউত সনদটি দুর্বল বলেছেন]
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে সালামাহ ইবন আকওয়া রাঃ হতে বর্ণিত, নবী সাঃ বনি আসলাম গোত্রের এক লোককে নির্দেশ দিলেন সে যেন লোকদের মাঝে এ ঘোষণা করে দেয়, যে আজ সকালে খেয়েছে সে যেন দিবসের বাকি অংশ রোজা পালন করে, আর যে ব্যক্তি কিছু খায়নি সে যেন রোজা রাখে কেননা আজকের এ দিন আশুরার দিন।
অপর বর্ণনায় রুবাঈ বিনতে মু’আওয়ামের সূত্রে এসেছে, রাসূল সাঃ আশুরার দিন সকালে মদিনার আশপাশে আনসারদের গ্রামগুলোতে লোক প্রেরণ করে এ ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি আজ রোজা রেখেছে সে রোজা সম্পন্ন করবে, আর যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি সে দিবসের বাকি সময় রোজা পালন করবে। অতঃপর আমরা এ দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের ছোট সন্তানদেরও রোজা রাখতে বাধ্য করতাম। এ দিন রাসূল সাঃ-এর নির্দেশের গুরুত্ব এতে এটাও প্রমাণিত হয় যে, এ দিনের রোজা রাখার নির্দেশ রাসূল সাঃ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রদান করতেন।
তৃতীয় অবস্থাঃ রামাদান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পর রাসূল সাঃ আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ তুলে নেন। এবং এ ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শন করেন। বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, ইবনে উমার রাঃ থেকে বর্ণিত, নবী সাঃ আশুরার রোজা রেখেছেন এবং রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তবে যখন রামাদানের রোজা ফরজ করা হলো তিনি এ নির্দেশ পরিহার করেন। তাই আবদুল্লাহ ইবন উমার তার নির্ধারিত নফল রোজার দিন না হলে আশুরার এ দিনের রোজা রাখতেন না।
এসব হাদিস থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, নবী সাঃ রামাদানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার সিয়াম পালনকে নির্দেশ শিথিল করে নেন। এরপর এ দিনের রোজা বাধ্যতামূলক ছিল না। এ দিনের রোজা পালন মুস্তাহাব বা সুন্নাতের পর্যায়ের রয়ে যায়। তার পরও উমার আন্নিআবদুর রহমান ইবন আউফ আবু মূসা, কায়স ইবনে সাদ, ইবনে আব্বাস প্রমুখ থেকে এ দিনের রোজা রাখা প্রমাণিত হয়।
চতুর্থ অবস্থাঃ নবী সাঃ তার জীবনের শেষ দিকে এ দিনের সাথে অন্য এক দিনসহ রোজা রাখার সঙ্কল্প করেন। যেহেতু ইহুদি সম্প্রদায় শুধু এ দিনের রোজা পালন করে থাকে তাই তিনি তাদের বিরোধিতা করণার্থে এ দিনের সাথে আরো এক দিন রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন। সহিহ মুসলিমে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূল সাঃ আশুরার দিবসে রোজা রাখলেন এবং এ দিনের রোজা রাখতে নির্দেশ দিলেন, সাহাবিরা তাকে জানালেনঃ হে আল্লাহর রাসূল সাঃ, এ দিনটিকে ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা মর্যাদা দিয়ে থাকে। তখন রাসূল সাঃ বললেন, তাহলে ইনশাল্লাহ আগামী বছর এলে আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখব। বর্ণনাকারী বলেন, আগামী বছর আসার আগেই রাসূল সাঃ-এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে তিনি বলেন, রাসূল রাঃ এরশাদ করেছেন, যদি আমি আগামী বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকি অবশ্যই আশুরার সাথে নবম দিনও রোজা রাখব। মুসানাদ ইমাম আহমাদে এসেছে, ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, নবী সাঃ এরশাদ করেছেন, আশুরার দিবসে তোমরা রোজা রাখো, আর এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের বিরোধিতাকারী আশুরার আগে এক দিন এবং পরে এক দিন রোজা রাখো। এ হাদিসগুলো থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে, আশুরার রোজার ক্ষেত্রে রাসূল সাঃ-এর সর্বশেষ অবস্থা ছিল তিনি এ দিনের সাথে অন্য এক দিন অর্থাৎ ৯ তারিখে রোজা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আশুরার সিয়াম পালনের পদ্ধতিঃ কেবল ১০ তারিখ রোজা পালন করাকে কেউ কেউ মাকরুহ বলেছেন। ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে এরূপ বর্ণনা রয়েছে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাহিমজা রহঃ বলেন, বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে ৯ ও ১০ তারিখের দুই দিন রোজা রাখা। কেননা এ ছিল রাসূল সাঃ-এর জীবনের শেষ দিনের সঙ্কল্প। অপর দিকে এতে রয়েছে আহলে কিতাব তথা ইহুদিদের বিরোধিতা ও তাদের সাদৃশ্য; তা থেকে মুক্তি লাভ। তবে যেহেতু রাসূল সাঃ এ দিন এককভাবে রোজা রেখেছেন, সেহেতু কেবল এ দিনের রোজা রাখা যেতে পারে। [ইকতেজাউস্‌ সিরাত]
ইবনুল কাইয়্যেম রহঃ জাদুল মা’আদ-এ উল্লেখ করেন, ‘আশুরার দিবসের রোজার তিনটি গ্রেড রয়েছে। সর্বোচ্চ গ্রেড হচ্ছে এর আগে ও পরে মোট তিনটি রোজা রাখা; তারপর হচ্ছে ৯ ও ১০-এ দুই দিনের রোজা রাখা। অধিকাংশ হাদিস এভাবে এসেছে। এরপর হচ্ছে কেবল ১০ তারিখের রোজা রাখা। এ বক্তব্য থেকে এটাও প্রতীয়মান হয় যে, কেবল ১০ তারিখের রোজা রাখা মাকরুহ নয়। আশুরার সাথে কারবালার ঘটনার সম্পর্ক।
উপরিউক্ত হাদিসগুলো থেকে এ কথাও আমাদের সামনে প্রমাণিত হলো যে কারবালার ঘটনার বহু আগ থেকেই আশুরার মর্যাদা ও ফজিলত সাব্যস্ত হয়েছে। আশুরার এ ফজিলত ও মর্যাদাকে কারবালার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করা সত্যিই বিভ্রান্তিকর ও অসঠিক। কারবালার ঘটনার প্রায় ৫১ বছর আগে আশুরার রোজা ও ফজিলত হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। তাই আশুরার শিক্ষার নামে কারবালার ঘটনা টেনে এনে কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবী যে ঐতিহাসিক বিভ্রাট তৈরি করেন এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের আদর্শিক ও নৈতিক ধ্যান-ধারণার বহিঃপ্রকাশ করে থাকেন তা সত্যিই আদর্শিক বেড়াজাল। তার এ কথা সত্য, অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে রাসূল সাঃ-এর দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী রাঃ ৬১ হিজরি সনের আশুরার দিন শাহাদত বরণ করেন। তার এই শাহাদত ছিল ইসলামের ইতিহাসে এক অকার অধ্যায় এবং এ ঘটনা ছিল মহীয়ান আল্লাহ তায়ালার অবধারিত ফয়সালা। এ দিনের মর্যাদা ও ফজিলতের সাথে তার এ শাহাদতের কোনো সম্পর্ক নেই কেবল এতটুকু ছাড়া যে, দিনটি ছিল আশুরার দিন।


ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মাদানী

কোন মন্তব্য নেই: